আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে এ সময়ে শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহনে আনা-নেওয়ার শর্তে কারখানা খোলা রাখা যাবে। 

সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। কারখানার নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে পোশাক ব্যবসায়ীরা কারখানা খোলা রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে কারখানা খোলা রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়। যা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখলে শ্রমিকরা গ্রামে চলে যাবেন। গণপরিবহনে আসা-যাওয়া এবং অবাধে চলাফেরার ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে যাবে। শ্রমিকদের দায়িত্বও মালিকরা নেবে না।

ফারুক বলেন, আমরা বলেছি শ্রমিকদের ৯০ শতাংশ কারখানার আশপাশ এলাকায় থাকেন। তারা পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে করে অফিস করেন। কারখানা বন্ধ না করা হলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করব আমরা। তাতে শ্রমিকরা ভালো থাকবেন।

এমআই/জেডএস/জেএস