এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের যে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ নাগরিক সমাজ নামের একটি সংগঠন। তারা নতুন নির্ধারিত দামকে অগ্রহণযোগ্য, অনৈতিক ও জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেছে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন লোক দেখানো গণশুনানি করেছে। এ শুনানির মাধ্যমে তারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের মূল্য ৫৯১ টাকা হলেও সাধারণ জনগণ সরকারেরটা কখনো পায় না। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের মূল্য ৯৭৫ টাকা করা হয়েছে, যা হাস্যকর। কারণ বর্তমান বাজারে সিলিন্ডারের খুচরা মূল্য ১২.৫ কেজি ৯০০ টাকা। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের যে প্রত্যাশা ছিল কমিশন তা পূরণ করেছে। শুনানির মাধ্যমে কমিশন শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে, নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করেনি। অথচ এই কমিশন চলে জনগণের অর্থে। আমরা এই গ্যাসের মূল্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং কমিশনকে অনৈতিক মূল্য নির্ধারণ করার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকারের কাছে ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার দাবি করছি।

সোমবার (১২ এপ্রিল) ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে রান্নার কাজে ব্যবহৃত লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।

ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মাসে সরকারি এলপিজির ১২ কেজি বোতলের দাম হবে ৫৯১ টাকা, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ দাম হবে প্রতিকেজি ৭৯ টাকা ০১ পয়সা। আর বেসরকারি বোতলজাত এলপিজির প্রতিকেজির মূল্য ধরা হয়েছে মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা। ১২ কেজির বোতল হাতবদলের ক্ষেত্রে পরিবহন ভাড়াসহ ডিস্ট্রিবিউটর বা বিপণন চার্জ ৫০ টাকা, ডিলার রিটেইলারের চার্জ ৩০ টাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের সঙ্গে যুক্ত আছে।

এএসএস/এসএসএইচ