হিলি শুল্ক স্টেশন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির কারণে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।

সরকারের নতুন আদেশ অনুযায়ী সাত দিন দেশের সব অফিস-আদালত, ব্যাংক, শপিংমল, দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ থাকবে। চলবে না পরিবহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

তবে খোলা থাকছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন সব শুল্ক স্টেশনগুলো। আমদানি-রফতানিসহ অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখতে বরাবরের মতো জরুরি সেবা দিয়ে যাবে এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ।

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের জরুরি সেবার অংশ হিসেবে বরাবরের মতো এনবিআরের আওতাধীন সকল শুল্ক স্টেশন খোলা থাকবে। তবে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ অনুকরণ করে চলবে শুল্ক স্টেশনগুলো।

অন্যদিকে, এ বিষয়ে দেশের বড় শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস হাউজ কমিশনার মো. ফখরুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগের সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দিন-রাত কাজ করে গেছে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এবার সে রকমই প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এনবিআর থেকে এখনও নির্দেশনা আসেনি।

এনবিআর থেকে আরও জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের জন্য গণপরিবহন বন্ধসহ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১১ দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। সে সময়ই স্বাভাবিক সেবা দিয়েছে কাস্টমস হাউজগুলো। করোনায় ২০২০ সালের সাধারণ ছুটির সময়ে এনবিআর থেকে সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশনা দিলেও কাজের প্রয়োজনে কোনো কোনো শুল্ক স্টেশনে দিন-রাত হয়েছে আমদানি-রফতানির কাজ।

কাস্টমস হাউজগুলোর মধ্যে ঢাকা কাস্টমস হাউজ, কমলাপুর আইসিডি কাস্টমস, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ ও বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কাজের চাপ একটু বেশি থাকে।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এনবিআরের প্রায় প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আট জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন।

তারা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মজুমদার, খোরশেদ আলম, সুকানী মো. কায়কোবাদ, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কবির হোসেন শিকদার, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রহমত আলী, মো. ইদ্রিস আলী মন্ডল ও আনোয়ার জাবেদ। সবশেষ কাস্টমস কমিশনার হোসাইন আহমেদ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪০০ কিলোমিটার যার শতকরা ৯২ ভাগ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি ৮ ভাগ মিয়ানমারের সঙ্গে। পুরো সীমান্তে ছোট-বড় ১৮১টি শুল্ক স্টেশন আছে যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন। এর মধ্যে ২৪টি শুল্ক স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশে স্থলবন্দর চালু রয়েছে ১২টি।

আরএম/এফআর