নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। কৃষি বিপণন আইনে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো- তেল, ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনি ও পেঁয়াজ।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে ওইসব পণ্য বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোহাম্মদ ইউসুফ।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের অধীনে পরিচালনা করা এক গবেষণা প্রতিবেদনের আলোকে এ দাম নির্ধারণ বা যৌক্তিক দামের কথা বলছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এ প্রতিষ্ঠান।  সোমবার (১৩ এপ্রিল) কৃষি বিপণন অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের বেঁধে দেওয়া দাম 
তেল: খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলের দাম ১৩১ থেকে ১৪১ টাকা। আর পাঁচ লিটার বোতলের দাম ৬৬০ টাকা।

মসুর ডাল: পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ডালের দাম (উন্নত) ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর খুচরা বাজারে ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা।

পেঁয়াজ: বাজারে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ পাইকারি দাম প্রতিকেজি ৩৫ টাকা ও খুচরা ৪০ টাকা।

ছোলা: পাইকারি বাজারে ছোলার দাম কেজিপ্রতি ৫৮ থেকে ৬২ টাকা ও খুচরা বাজারে ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা।

চিনি: পাইকারি বাজারে পরিশোধিত মূল্য ৬৩ টাকা ও খুচরা বাজারে ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা।

খেজুর: পাইকারিতে সাধারণ মানের খেজুর ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও খুচরায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মাধ্যম মানের পাইকারিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ও খুচরায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা যায় রমজানের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। তাই অস্বাভাবিকভাবে এসব পণ্যের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

আমাদের বেঁধে দেওয়া দামের বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে কি না তা বাজার মনিটরিংয়ের জন্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে ‍বলে জানান তিনি। মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি বিপণন অধিদফতর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম বাজার তদারকির কাজ করছে।

গবেষণার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, সাধারণত বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজান মাসে কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি অতি মুনাফা লাভের চেষ্টা করে।

চলতি বছর রমজানে এ ধরনের সুযোগ বন্ধের লক্ষ্যে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ পাঁচ পণ্যের চাহিদা, আমদানির পরিমাণ, আমদানি মূল্য, উৎপাদনের পরিমাণ, পাইকারি ও খুচরা মূল্য এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কৃষি বিপণন অধিদফতর গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে।

একে/ওএফ