রাত পোহালেই রোজা শুরু। তার আগেই রমজানকে কেন্দ্র করে বেড়েছে লেবু ও শসার দাম। একদিনের ব্যবধানে লেবুর দাম হালিতে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। আর শসার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার কাঁচাবাজারগুলোতে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে সোমবার (১২ এপ্রিল) কাগজি (আকারে ছোট রস কম) লেবু বিক্রি হয়েছিল ১৫-২০ টাকা হালিতে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সেই লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালিতে। দেখতে কাগজি লেবুর মতো তবে রস বেশি আকারেও বড়- এমন একটু ভালো মানের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালিতে। কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা হালিতেও। তবে মাঝারি মানের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা হালিতে। অর্থাৎ লেবুর দাম অনেকটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

একই অবস্থা ইফতারে অধিক ব্যবহৃত শসার দামেরও। একদিনের ব্যবধানে শসার কেজি ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ও রোজাকে কেন্দ্র করে নতুন করে লেবুর দাম বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজা সামনে রেখে একটি সুবিধাভোগী চক্র হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এখন ফায়দা লুটছে।

উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী লিমন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজার কারণে লেবুর দাম বেড়েছে। কাল থেকে আরও বাড়বে। লেবু তো পচনশীল পণ্য নয়, তারপরও দাম বাড়ছে কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনগুলো ঠিকমতো বাজারে আসছে না। আর রোজা ও লকডাউনের কারণে লেবুর দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, এই বাজারে লেবুর দাম কম। অন্য বাজারে গিয়ে দেখেন আরও বেশি।

মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মুঞ্জুর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত লকডাউনের সময় লেবুর দাম বেড়েছিল। পরে কয়েকদিন কিছু কমেছে। এখন আবার লকডাউনের কারণে বেড়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, করোনার কারণে লেবুর চাহিদা বেড়েছে। আবার কাল থেকে রোজা। রোজায় শরবতে লেবু ব্যবহার করেন সবাই। এ কারণে লেবুর দাম বেড়েছে।

বাড্ডা পোস্ট অফিস গলিতে ভ্যান থেকে লেবু কিনেছেন জামিল উদ্দিন সরকার নামের একজন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, লেবুর দাম কত জানতে চাইলে বলল ৮০ টাকা। আমি এক ডজন ৮০ টাকা ভেবে বললাম দেন, দিলো চারটা। একটু থেমে গেলাম, তারপর আবার তার দিকে তাকিয়ে বললাম, কী ভাই আর দেবেন না? উনি বললেন, এক হালি ৮০ টাকা। দাম শুনে অবাক হলাম, কিছু না বলে নিয়ে আসলাম।

করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর উপশমে ভিটামিন ‘সি’ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেক দেশেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে বিভিন্ন ডোজে ভিটামিন ‘সি’ দিয়ে অনেক উপকার পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে দেশে ভিটামিন ‘সি’ প্রাপ্তির সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস হচ্ছে লেবু। তাই এর চাহিদাও বেশি।

এমআই/এসএসএইচ/জেএস