বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডের আয়ের ওপর কর কমানো হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উভয় ক্ষেত্রেই কর ২৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আয়কর বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন ইস্যু করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‌‘আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারায় (১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ড, আনুতোষিক তহবিল, অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিল এবং অনুমোদিত পেনশন তহবিল হতে উদ্ভূত আয়ের ওপর ২০২৩-২০২৪ করবর্ষের জন্য আয়করের হার ২৭.৫ শতাংশ এবং শর্ত পরিপালনের ব্যর্থতায় করহার ৩০ শতাংশ, উভয় স্থলে করহার হ্রাস করিয়া কেবল করহার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।’ 

এর আগে গত নভেম্বরে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে সার সংক্ষেপ পাঠায় এনবিআর। 

এনবিআরের সারসংক্ষেপ সূত্রে জানা যায়, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিল ও গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিক তহবিল গঠনের মাধ্যমে চাকরিজীবীদের সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা হয় এবং আর্থিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র তৈরি হয়। যা দেশের মোট সঞ্চয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের তহবিলগুলোর আয়ের ওপর করহার ২৭.৫০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ হারে আরোপিত হলে তহবিলসমূহের সুবিধাভোগী বেসরকারি চাকরিজীবীদের ওপর অতিরিক্ত করভার লাঘব হবে। 

এর আগে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিল ও গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিক তহবিলের ওপর কর হার কমাতে এনবিআরে আবেদন করে বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন। তাদের আবেদনে বেসরকারি চাকরিজীবীদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের বৈষম্যের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

গত জুনে পাস হওয়া নতুন আয়কর আইনে ট্রাস্ট ও তহবিলকে (প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ড) কোম্পানি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এর ফলে বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডকে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ রিটার্ন দাখিল এবং ২৭. ৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। যদিও সরকারি চাকরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করের আওতামুক্ত রেখে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে। পুরনো আয়কর আইনে সরকারি-বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ড করের আওতামুক্ত ছিল।

আরএম/এসকেডি