রোজার শুরুতেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে তরমুজের দাম আরও বেড়েছে। দুদিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। তরমুজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কলার দামও। দুদিনের ব্যবধানে কলার দাম হালি প্রতি বেড়েছে দ্বিগুণ।

রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর যে তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই তরমুজ এবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর চাম্পা ও চিনি চাম্পা কলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি। সবরি কলা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা হালি।

বিক্রেতারা বলছেন, রোজায় কলা ও তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেই পরিমাণ কলা আসছে না। ফলে চাহিদার তুলনায় কলা কম থাকায় দাম বেড়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, রোজা রাখার পর প্রচুর পানির দরকার হয়। তরমুজ খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। পানির পিপাসাও কমে। তাই তরমুজ খাওয়া ভাল। কিন্তু মৌসুমি ফল হওয়ার পরেও কেজিপ্রতি তরমুজের দাম অনেক বেশি।

কলা নিয়ে তারা বলেন, ইফতারে আপেল, খেজুর, মাল্টা ও শসার সঙ্গে কলা খুবই জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও রাতে বা সেহরিতে দুধের সঙ্গে কলার প্রয়োজন হয়। কলা কিনতে এসে দেখি দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।

তারা বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রমজান মাসে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। যাতে রোজাদাররা ভালোভাবে রোজা পালন করতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। রোজার আগের দাম কম থাকলেও রোজার আসতে না আসতেই দাম বাড়ায়।

রামপুরা বাজারে ব্যবসায়ীরা জানান, গত সোমবার তরমুজ বিক্রি করেছি ২৫ টাকা কেজি। আজকে কেনাই পড়েছে ৪০ টাকা। এখন আপনিই বলেন আমি কত টাকা বিক্রি করব। আমি ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্মচারী জাফর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতবারের চেয়ে তরমুজের দাম অনেক বেশি। গতবার ১০০ টাকায় যে তরমুজ কিনেছি এবার সেই তরমুজ কিনতে ৩০০ টাকা লাগে। তরমুজ কখনও কেজি হিসেবে কিনতে হয়নি। এবার কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ফলে দাম বেশি পড়ছে।

মোজাম্মেল হোসেন নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদিন আগেও যে সবরি কলা ৮০-৮৫ টাকা ডজন কিনেছি এখন সেই কলা ১২০-১৩০ ডজন। অর্থাৎ এক হালি কলার দাম ৪০-৪৫ টাকা।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার এক ডজন চাম্পা কলা কিনেছি ৪০ টাকায়। আজকে সেই কলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা ডজন। ডাবল দাম।

মধ্যবাড্ডার ব্যবসায়ী মমিনুল হক জানান, গত দুদিনে সব ধরনের কলার দাম বেড়েছে। এর মধ্যে চম্পা কলার দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এখন বাংলা কলা, সরবি কলা বিক্রি করছি ১২০-১৩০ টাকা ডজন। খুচরা নিলে ৪৫ টাকা হালি বিক্রি করছি। আর চম্পা কলা ৩০ টাকা হালি বিক্রি করছি।  

তিনি বলেন, রোজার মাসে কলার দাম একটু বেশি থাকে। কিন্তু এবার লকডাউন থাকার কারণে দাম বাড়ছে। তবে লকডাউন শেষ হলে দাম কমত পারে।

এমআই/ওএফ