রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে পচা পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক ডিলারের বিরুদ্ধে। তবে ক্রেতার অভিযোগে শাহ আলী থানার পুলিশের তৎপরতায় পচা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর-১ এ শাহ আলী মাজারের পাশে টিসিবির ডিলারকে পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। এক ভুক্তভোগী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি পেঁয়াজ নিয়েছিলাম। কিন্তু পেঁয়াজ পচা হওয়াতে পুলিশকে ফোন দিয়ে অভিযোগ দেই। তারপর পুলিশ এসে টিসিবিকে পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশ দেন। কিন্তু পেঁয়াজের বদলে তারা চার কেজি ছোলা দিতে চাইছে। এতো ছোলা দিয়ে কি করব।

ওমর নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। কিন্তু ওরা পণ্য দিতে দেরি করছে। বেছে বেছে পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে অনেক সময় লাগছে। আমরা ক্রেতারা অভিযোগ করলেও তারা আমলে নেয়নি। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ হয়েছে।

টিসিবি কর্মী সুমন বলেন, পচা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করেছি। জোর করে পণ্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সব পণ্য শেষ করতে ডিলারের নির্দেশনা আছে। ডিলার আজ ৩০০ কেজি ডাল ও ৮০০ কেজি ছোলা দিয়েছে। ডিলারের নির্দেশ অনুযায়ী এগুলো শেষ করতে হবে। এজন্য ছোলা বিক্রিতে জোর করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রমজানকে কেন্দ্র করে পহেলা এপ্রিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে দেশব্যাপী ৫০০ ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করছে টিসিবি। ঢাকাসহ জেলা সদর ও উপজেলাসহ সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে আগামী ৬ মে পর্যন্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে। গত ৩১ মার্চ টিসিবি এসব তথ্য জানায়।

টিসিবি জানায়, ঢাকাসহ জেলা সদর ও উপজেলাসহ দেশব্যাপী ডিলারদের মাধ্যমে প্রতি ট্রাকে ৮০০ থেকে ১২ কেজি চিনি বিক্রি হবে। প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি বিক্রি করা হবে। ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি মসুর ডাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ দুই কেজি। ১২০০ থেকে ১৫০০ লিটার সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার। ৪০০ থেকে এক হাজার কেজি ছোলা প্রতি কেজি ৫৫ টাকা করে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ তিন কেজি। ১০০ কেজি খেজুর প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ এক কেজি ও ৩০০ থেকে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। 

এসআর/ওএফ