২০২৩ সালে ৪ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে বা ই-রিটার্ন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর দিয়েছেন। অটোমেশন প্রক্রিয়া আরও করবান্ধব করলে করদাতা ও করের পরিমাণ দুটোই বৃদ্ধি পাবে।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আয়কর আইন ২০২৩:  কর্পোরেট করের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তাদের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে আসে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই’র কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা স্নেহাশীষ বড়ূয়া। যেখানে ঢাকা চেম্বারের সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে করদাতার হার অত্যন্ত কম, যেখানে ১৭ কোটি মানুষের এদেশে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ কর দিয়ে থাকেন, যা মোটেও কাম্য নয় এবং কর প্রদানের এ নিম্নহার বিদ্যমান করদাতাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে থাকে। অন্যদিকে করদাতাদের স্বল্পহার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে শ্লথ করছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের বিদ্যমান রাজস্ব প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা সম্ভব হলে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের হয়রানি কমবে, সেই সাথে সম্ভাবনাময় নতুন করদাতাদের এ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে করজাল আরো সম্প্রসারিত হবে।

‘আয়কর আইন-২০২৩’-এর ১৬৩(২)(খ) ধারা অনুযায়ী কর্তন বা সংগৃহীত কর উৎসে করকে ন্যূনতম কর হিসেবে বিবেচনার বিধান রয়ে গেছে, যা প্রকৃতপক্ষে কর্পোরেট করের হারকে বৃদ্ধি করছে বলে মত প্রকাশ করেন আশরাফ আহমেদ।    

কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর যুগ্ম কমিশনার (কর অঞ্চল-১৫) ওয়াকিল আহমেদ জানান, ২০২৩ সালে প্রায় ৪ লাখের অধিক করদাতা ই-রিটার্ন সার্ভিস ব্যবহারের মাধ্যমে কর প্রদান করেন, আগের বছরে এর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার। এতে প্রতীয়মান হয়, অটোমেশন প্রক্রিয়া করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ই-টিডিএস ব্যবস্থা আরো বেশি হারে ব্যবহারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এনবিআরের অপর যুগ্ম কমিশনার (কর অঞ্চল-৪) মুরাদ আহমেদ।

আরএম/জেডএস