তিন ভবিষ্যৎ স্থপতির হাতে কেএসআরএম আইএবির যৌথ উদ্যোগে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস: বেস্ট আন্ডারগ্র্যাজুয়েট থিসিস’ শিরোনামে তিন মেধাবী ও তরুণ ভবিষ্যত-স্থপতিকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) সেন্টারে বিজয়ীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। পঞ্চমবারের মতো এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে কেএসআরএম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান। তিনি বিজয়ীদের হাতে অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়ে বলেন, কেএসআরএম এবং আইএবির এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই অ্যাওয়ার্ড শিক্ষার্থীদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানি এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসবে— এটাই আমার প্রত্যাশা।

কেএসআরএম মার্কেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট শাখার মহাব্যবস্থাপক কর্নেল (অব.) মো. আশফাকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘তারুণ্যের উচ্ছল মনন আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক নির্মাণের মূলশক্তি। এই সুন্দর মননগুলোকে চিনতে পারলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষা নির্মাণে তা সহায়ক শক্তি হিসেবেই কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ড) মনিরুজ্জামান রিয়াদ, অ্যাওয়ার্ড সমন্বয়কারী স্থপতি সৈয়দা সাইখা সুদাহ্, কেএসআরএমের প্রকৌশলী সাইফ মাওলা, সিনিয়র অফিসার মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, তাহুমুল হক বাবু।

এবার প্রথম অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ফাহিম আশফাক ফারুকী, দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাহিয়া মুসতারী নওশীন এবং তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইসরাত জাহান।

আইএবির সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে বতর্মানে যে মেগাস্ট্রাকচারগুলো উদ্বোধন করা হচ্ছে কিংবা যেগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেও একই ভাবনা কাজ করে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ও জিডিপিতে অবদান রাখার মতো প্রতিটি মেগা প্রকল্পের অংশীদার হতে পারায় আমরা গর্বিত।’

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, সূচনা বক্তব্য দেন আইএবির সম্পাদক (শিক্ষা) স্থপতি ড. নওরোজ ফাতেমী।

এমজে