সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা (আইটিইএস) খাতের কর অব্যাহতি সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

আয়কর আইন অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষেবা খাতের ২৭টি উপখাতের ব্যবসার আয়ের ওপর কর অব্যাহতি রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেসিস জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে বৈদেশিক বাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি। বর্তমানে কর অব্যাহতির মেয়াদ মাত্র ১ বছর থাকায় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে না। সরকার ঘোষিত অগ্রাধিকার খাত ও শিল্প হিসেবে বিবেচিত এই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় তরুণ ও উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের এবং বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কর অব্যাহতির সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া ট্যাক্স এক্সেম্পশন' এর ডিজিটাল সার্টিফিকেট ইস্যু করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেসিসের দাবিতে জানানো হয়েছে, পেশাদার সেবা, প্রযুক্তিগত সেবা ফি বা প্রযুক্তিগত সহায়তা ফির ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা, মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, প্রযুক্তিগত সহায়তা সেবা প্রদানকারীর ব্যাংকিং কার্যক্রমে যুক্ত সরবরাহকারী এজেন্টের ওপর উৎসে কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা।

বেসিস আরও জানায়, রাইড শেয়ারিং সেবা, ওয়ার্কিং স্পেস সরবরাহ সেবা, আবাসন সরবরাহ সেবাসহ যেকোনো প্রকার শেয়ারিং ইকনোমিক প্ল্যাটফর্মের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, ইন্টারনেট, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার সার্ভিস ডেলিভারি এজেন্টের আয়ের ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা।

আইটি খাতের নতুন নতুন সেবায় বিনিয়োগ আকর্ষণে ও রপ্তানি আয়ের প্রসারে আয়কর আইনের ধারায় সফটওয়্যার ও প্ল্যাটফর্মকে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে বেসিস।

এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি পণ্যের শুল্কহার ও সফটওয়্যারের উৎপাদন পর্যায়ে ও কাস্টমাইজেশন সেবার উপর মূসক শূন্যে নামিয়ে আনা, স্থানীয় পর্যায়ে সফটওয়্যার তৈরি উৎপাদন করতে যেসব বিদেশি সফটওয়্যার প্রয়োজন সেখানে সম্পূর্ণরূপে কর ও মূসক প্রত্যাহার, দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের প্রতিরক্ষণে অপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস, সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যতীত অন্যান্য সফটওয়্যার যা দেশেই তৈরি হয় সেগুলো আমদানির ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক ও মূসক বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বেসিস।

আরএম/এসকেডি