চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও ১৫.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে এনবিআর ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫১ শতাংশ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সাত মাস শেষে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। যদিও ওই হিসাবে সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে। 

বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে ঘাটতি আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। এর আগে অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। 

এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। সাত মাসে আমদানি খাতে ৬৪ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে ৫৭ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। জুলাই থেকে জানুয়ারি—এই সাত মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৭৭ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। 

আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। এই খাতে ৭০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬৩ হাজার ৭৪ কোটি টাকা

এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি রয়েছে। যে কারণে শুল্ক বিভাগে রাজস্ব আদায়ের গতি কমেছে। প্রবৃদ্ধি বিবেচনা করলে আয়কর ও ভ্যাট বিভাগে ১৫ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলেই মনে করছি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে মূসক থেকে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়।

আরএম/এমএসএ