এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর বোর্ড অব গর্ভনরের ৫৪তম বার্ষিক সভা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৩ মে। তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সভাটি চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। করোনা মহামারির জন্য এবারের বার্ষিক সভাও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, গণমাধ্যমের জন্য এবারের সভাটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। বার্ষিক সভায় কয়েকটি সিরিজের মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং কোভিড পরিস্থিতি থেকে এ অঞ্চলটি পুনরুদ্ধারের বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে।

এডিবি জানায়, ৫৪তম বার্ষিক সভার প্রতিটি ইভেন্টে এডিবির সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধি, উন্নয়ন ও শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং এডিবি ম্যানেজমেন্টের অর্থ মন্ত্রীরাসহ হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিরা উপস্থিতি থাকবেন। বার্ষিক সভায় সুনির্দিষ্ট ইভেন্টগুলো পেতে এডিবি ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত দেখার এবং রেজিস্ট্রেশন করতে আহ্বান করেছে সংস্থাটি।

এডিবির ৫৪তম বার্ষিক সভা উপলক্ষে সংস্থাটির সভাপতি আসাকাওয়া বলেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য মহামারি ও ফোকাস অঞ্চলগুলোর বিষয়ে এডিবির পরিকল্পনা সভায় আলোচনা করা হবে। এবারের সভায় এডিবির সদস্য দেশগুলো ও অংশীদারদের মধ্যে একটি স্থিতিশীল এবং সবুজ ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতার মাধ্যমে আরও শক্তিশালী পুনর্গঠনের সহায়তায় গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে।

এডিবি ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কমিশনের সদস্য এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ে এডিবি গঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১টি। গত বছরের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ৬৮টি দেশ এডিবির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছে। মোট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৪৮টি দেশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার। 

স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এডিবির সদস্য পদ লাভ করে। মূলত সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও দ্রুত বেগবান ও সহজ করাই ব্যাংকটির মূল উদ্দেশ্য।

এসআর/জেডএস