চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশি সিগারেট আমদানি, সরবরাহ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সরকারি স্বার্থ সুরক্ষায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে চোরাচালানকৃত বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার শপ, শপিংমল ও সাধারণ মুদি দোকানে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিদ্যমান আইন ও বিধি বিধান না মেনে আনা এসব সিগারেট বাজারজাতকরণের ফলে আইন ভঙ্গের পাশাপাশি দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার তার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হারাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। সে কারণেই এনবিআরের তৎপর থাকবে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আমদানিনীতি আদেশ: ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(১০) অনুযায়ী সিগারেট আমদানির বিধান নিম্নরূপ: ‘আমদানিযোগ্য সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বাংলায় সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকিতে হইবে, তবে বন্ডেড ওয়‍্যারহাউস কর্তৃক সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে উক্তরূপ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বাংলা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় মুদ্রণ করা যাবে’।

এছাড়া, কাস্টমস আইনের ধারা-২(এস) এ কী কী কার্যক্রম চোরাচালান হিসেবে বিবেচিত হবে, তারও সংজ্ঞা/ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কাস্টমস আইন এবং আমদানি নীতি আদেশে উল্লিখিত বিধি বিধান লঙ্ঘন করে বিদেশি সিগারেট আমদানি/উৎপাদন/সরবরাহ/বাজারজাত/বিক্রি করা চোরাচালান হিসেবে গণ্য এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এনবিআর জানায়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর এস.আর ও নং-১৮১- আইন/২০১৯/৩৮/মূসক অনুযায়ী, ব্যান্ডরোলবিহীন কিংবা জাল ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট কিংবা বিড়ি তৈরি, মজুত, সরবরাহ, বিক্রি ও ব্যবহারও দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই সব আমদানিকারক, উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও ব্যবসায়ীদের দেশের প্রচলিত আইন পরিপালন ছাড়া বিদেশি সিগারেট আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ, বাজারজাত ও বিক্রি না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে চোরাচালান করা বিদেশি সিগারেট পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তকরণসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন, ১৯৬৯, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ মোতাবেক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

আরএম/কেএ