ঈদুল ফিতরের আগে শতভাগ তৈরি পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন  বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নান কচি এ তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন বোনাস পায়, সে লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে মিলে আমরা অগ্রিম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিই। এসময় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ নিজস্বসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে স্পর্শকাতর প্রায় ৬০০টি কারখানার তালিকা পেয়েছিলাম। সে অনুযায়ী শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ঈদের একমাস আগে থেকেই এসব কারখানা মনিটরিং করা শুরু করি। সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের ৫০ জনের ২২টি টিম কারখানাগুলো মনিটরিং করে। মনিটরিং করার সময় ২৫টি কারখানায় শ্রম সংক্রান্ত কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল, যা সমাধান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে শতভাগ কারখানা মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। আমাদের জানামতে বেতন বা বোনাস পায়নি, এ রকম একজন শ্রমিকও নেই। সব কারখানা শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে এবং শ্রমিক ভাইবোনরা বেতন ও বোনাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বর্তমান পোশাক খাতের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জানান, পোশাক শিল্প একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। গত ৫ বছরে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, ব্যাংকের সুদ এখন ১৩-১৪ শতাংশ এ পৌঁছেছে। জানুয়ারি মাস থেকে মজুরি বেড়েছে ৫৬ শতাংশ, যেটি অনেক কারখানার জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ মজুরি বাড়লেও আমরা আমাদের পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছি না। বরং আমাদের পণ্যের দরপতন হয়েছে ৬-১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় কারখানাগুলো শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্য মূল্য ছাড় দিয়ে অর্ডার নিতে বাধ্য হচ্ছে। এমন অবস্থায় নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বোনাস দিতে হচ্ছে, যা অনেক কারখানার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।   

এসআই/এসকেডি