বেগুনের কেজি ২০, করলা-পটল ৩০
দাম কমেছে বেগুনের
রমজানের প্রথমদিকে লাগাম ছাড়ানো বেগুনের দাম এখন সবচেয়ে কম। লকডাউন এবং রোজার অজুহাতে ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও কমেছে পটল, করলা, ঢ্যাঁড়স, টমেটোসহ বেশির ভাগ সবজির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন প্রচুর সবজি আসছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি তাই দাম কমছে। তবে দাম কমার আরেকটি কারণ হলো- রোজা এখন শেষের দিকে। সবাই মার্কেটে ভিড় করছে। সবজি কম কিনছে।
বিজ্ঞাপন
সবজির বর্তমান বাজারদর স্বাভাবিক বলে মনে করেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, দেশে এখন প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন হচ্ছে। কিছুতেই সবজির কেজি ৫০-৬০ টাকা হওয়া উচিৎ না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাঝে মধ্যেই এসবের দাম বাড়ায়। আর ভুক্তভোগী হই আমরা।
বুধবার (৫ মে) রাজধানীর বাড্ডা পাঁচতলা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আকারে ছোট কালো বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। সাদা মোটা বেগুণ বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা কেজিতে। আর সবচেয়ে ভালো মানের বেগুন ২৫ টাকা কেজি। আবার কোনো কোনো দোকানে ৩০ টাকা করেও বিক্রি করছে।
বিজ্ঞাপন
রোজার প্রথম সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কমেছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনের পাশাপাশি দুদিন আগেও ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে।
একই দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো, ঢ্যাঁড়স, করলাও। বেগুনের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপেও। জালি কুমড়া পিস বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে।
দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি। আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে।
ডালের মধ্যে মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা ৮০ টাকা কেজিতে। চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। অ্যাংকর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।
ব্রয়লার মুরগির ডিম হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে যদি কেউ ডজন মুরগির ডিম কেনেন তাহলে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের সোনালী মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০-৫৮০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা কেজি দরে।
সবজি বিক্রেতা মহসিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ (বুধবার) সবজির দাম কম। তাই বলে কালকেও কম হবে এটা বলতে পারব না। এটা প্রতিদিনই আপডাউন করে। আজ আমরা কম দামে কিনেছি, তাই কম দামেও বিক্রি করছি।
ক্রেতা মনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজায় সবচেয়ে বেশি কিনেছি শসা। ইফতারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে শসাই বেশি খাওয়া হয়। তিনি বলেন, তিনদিন আগেও শসা কিনেছি ৫০ টাকা দরে। আজ পেয়েছি ৩০ টাকা কেজিতে। তাই তিন কেজি কিনেছি। অন্যান্য সবজিরও আজ দাম কম দেখছি।
এমআই/এইচকে