বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি / ফাইল ছবি

ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে দেশের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকেআমাদের নজর থাকবে। ভারত পেঁয়াজ আমদানির বন্ধ করার ক্ষেত্রে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। আগামী মার্চের দেশের কৃষকদের পেঁয়াজ বাজারে আসবে। তখন আবারও পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান টিপু মুনশী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দেশের ওপর নির্ভয়শীল না হয়ে নিজেরাই পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। আমরা তিন বছরের মধ্যে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। সেজন্য কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনের উৎসাহিত করতে চাই। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের ওপর এককভাবে নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। এজন্য আমরা বিকল্প বাজার খুঁজছি। কারণ ভারত তার স্বার্থের কথা ভেবে কখনও কখনও পেঁয়াজ ছাড় করে, আবারও হুট করে বন্ধও করে দেয়। এতে ভোক্তারা সংকটে পড়ে।

মন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আসছে তা ৩৯ টাকা দরে আসছে,  সেটা বাজারে আসতে আসতে পাইকারি বাজারে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা পড়বে। আর খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তবে দেশি পেঁয়াজের দামও একই রকম থাকবে।  এতে বর্তমান বাজারের সঙ্গে ভারতের পেয়াজ দামের  তেমন কোন তফাৎ নেই । তাই  ভারতীয় পেঁয়াজের কারণে বাজারে  কোনো প্রভাব পড়বে না।

মন্ত্রী জানান, কৃষক ও ভোক্তাদের বিষয়িট প্রাধান্য দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/এসএম