দ্রুত পচনশীল ৬৪ ধরনের পণ্যের শুল্কায়নসহ সব কর্মকাণ্ড দ্রুত শেষ করে আমদানি-রফতানির গতিকে ত্বরান্বিত করতে বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বিধিমালার আওতায় তাজা ফুল, ফল, শাক সবিজ, মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, জরুরি ওষুধ, পান, কাঁচা চামড়াসহ ৬৪ ধরনের পচনশীল পণ্য রয়েছে।

নতুন বিধিমালাটিকে পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস ও নিষ্পত্তিকরণ বিধিমালা-২০২১ নামে অভিহিত করেছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়।

সোমবার (১১মে) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নানা জটিলতার কারণে দিনের পর দিন বন্দরে পচনশীল পণ্য বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে পড়ে থাকে। এতে আমদানিকারকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হন, একইভাবে রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। এসব কারণেই পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে এনবিআর।

বিধিমালা সূত্রে জানা যায়, ‘পচনশীল পণ্য দ্রুত খালাস করতে প্রতিটি কাস্টমস হাউসকে আলাদা করে অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করতে হবে। এই কর্মকর্তারা পচনশীল পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। তারা চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নির্ধারিত অফিস টাইমের বাইরে গিয়েও পণ্য খালাস করতে পারবেন। এ ছাড়া এই পণ্য চালান সম্পর্কে কোনো বিশেষ সংবাদ বা আমদানি নিষিদ্ধ বা মিথ্যা ঘোষণা না থাকলে, সর্বোপরি সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী ঠিক থাকলে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।’

বিধিমালায় আরও বলা হয়, ‘কোনো আমদানিকারক বা রফতানিকারক চাইলে কোনো সিস্টেমে ২৪ ঘণ্টাই বিল অব অ্যান্ট্রি সাবমিট করতে পারবেন। কোনো আমদানিকারক যদি নির্ধারিত সময় পণ্য খালাস না করেন, সেক্ষেত্রে একজন উপকমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিলাম বা ধ্বংস করার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন। কায়িক পরীক্ষা বা নন ইন্ট্রুসিড ইন্সপেকশনের জন্য নির্বাচিত পণ্য চালানসমূহের ক্ষেত্রে মান, পরিমাণ বা অন্যান্য জিজ্ঞাসা থাকলে ইন্সপেকশন অ্যাক্ট নামক অংশে লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ করবে।

এ ছাড়া পরিবীক্ষণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠাতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে এ সময় বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া জব্দকৃত পণ্য যেমন- চিনি, লবণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সঙ্গে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারণ পূর্বক বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে।

আরএম/এসকেডি