রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই আগের দিন কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। ঈদে নতুন পোশাকের সঙ্গে মানান সই জুতা কিনতে ব্র্যান্ড কিংবা নন-ব্র্যান্ডের দোকান শো-রুমে সমাগম বেড়েছে ক্রেতাদের। শেষ সময়ে বিকিকিনি বাড়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন বিপনিবিতান ও শো-রুম ঘুরে দেখা যায়, জুতার দোকানে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। ঘুরে ঘুরে জুতা পছন্দ করছেন তারা। আবার অনেকে পছন্দের জুতার সাইজ মেলাচ্ছেন। শেষ সময়ে বিকিকিনিও জমজমাট দেখা গেছে দোকানগুলোতে।

তবে বিক্রি নিয়ে ব্র্যান্ডের দোকানগুলো সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও নন-ব্র্যান্ডের বিক্রেতারা পুরোপুরি খুশি নন। লকডাউনে ক্ষয়-ক্ষতি নিয়ে অনেকে হতাশাও প্রকাশ করেছেন।  

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড অ্যাপেক্সের মালিবাগ শাখার ব্যবস্থাপক বিদ্যুৎ হালদার ঢাকা পোস্টকে জানান, লকডাউনের কারণে ১৫ রোজার পর শো-রুম খুলতে হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কাস্টমার তেমন আসতে পারেনি। রোজার শেষ সময়ে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারি পরিস্থিতিতে বলব বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছে।          

একই কথা জানালেন দেশীয় ভাইব্রেন্ট ব্র্যান্ডের জুতার শো-রুমের ব্যবস্থাপক সোহাগ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজার প্রথম দিকে খুব হতাশ ছিলাম। শো-রুম খুলতে পারব কি না। কিন্তু পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ১৫ দিন ব্যবসা করছি। বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছর বা তার আগের বছরের সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না। কারণ গত বছর তো শো-রুম খুলতেই পারিনি, ব্যবসাই হয়নি। আর ২০১৯ সালে তো মাহামারি ছিল না। তবে এ বছর শেষ দিকে ক্রেতা বেড়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। সব মিলিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে-এটা বলা যেতে পারে।

ভাইব্রেন্ট শো-রুমে ক্রেতা আমেনা বেগম জানান, মেয়ের জন্য জুতা পছন্দ হলো কিনলাম। কিন্তু দামটা একটু বেশি মনে হলো। জুতা পছন্দ হয়েছে আর এখন বেশি ঘুরতে চাইছি না, তাই নিয়ে নিলাম।

শেষদিকে ক্রেতা বেড়েছে বিক্রিও ভালো হচ্ছে জানিয়ে বাটা ব্র্যান্ডের শো-রুমের ম্যানেজার মহসিন জানান, গত কয়েক দিন ক্রেতা বেড়েছে। ১৫ দিনে যে টার্গেট করেছিলাম তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।

মালিবাগ বাটার শো-রুমে জুতা কিনতে আসা ফারুক জানান, করোনার যে পরিস্থিতি এবার তেমন শপিং করতে যাওয়া হয়নি। রাস্তার পাশে শো-রুমে ভিড় কম তাই বাবার জন্য জুতা কিনতে এসেছি। পছন্দ ও সাইজে মিলেছে, নিয়ে নিয়েছে।

এদিকে ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে বিক্রি ভালো বললেও খুব একটা সন্তুষ্ট নয় নন-ব্র্যান্ডের জুতার ব্যবসায়ীরা।

গুলিস্তান ঢাকা ট্রেড সেন্টারের জুতা ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ বলেন, ১৫ দিন মাত্র ব্যবসা করেছি। রোজার শুরুতে খোলা রাখতে পারলে আরও ব্যবসা হতো। আগের মতো তেমন ক্রেতা নেই। কারণ ব্যবসা বাণিজ্য খারাপ, মানুষের হাতে তেমন টাকা-পয়সা নেই তাই কেনাটাকাও কমিয়ে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ কিনছেন না। শেষ সময় কিছু বিক্রি হচ্ছে। তবে লকডাইনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পোষাণোর মতো নয় বলে তিনি জানান।

এসআই/জেডএস