অর্ধেকেরও কম বাস্তবায়ন নিয়ে অর্থবছরের ১০ মাসে এসে ধুকছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। অর্থাৎ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০ মাস পার হয়ে গেলেও এখনও অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি এডিপি। 

এপ্রিল পর্যন্ত এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের এ হার ছিল ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের ওয়েবসাইটে এডিপির বাস্তবায়নের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর আওতায় চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সে হিসেবে এখনও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৬ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা অব্যয়িত রয়েছে। আরএডিপি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে মে ও জুন এই দুই মাসের মধ্যেই খরচ করতে হবে অব্যয়িত অর্থ। তবে বছর শেষে এডিপি বাস্তবায়ন হার ৮০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থবছরের ১০ মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ১ লাখ ২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬৬ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া ৩৩ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলের ২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৯৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার ফলে গত অর্থবছর ও চলতি অর্থবছরে কাজ কিছুটা কম হয়েছে। তারপরও গতবছর সর্বাত্মক লকডাউনের পরবর্তী সময়ে আমরা দ্বিগুণ লোকবল দিয়ে কাজ করিয়েছি। আর আগেও আমি নিজেই এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। এডিপির অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, অগ্রগতি যাই হোক না কেন, অর্থবছর শেষে এ হার বেড়ে ৮০ শতাংশের ওপরে চলে যাবে। কারণ, সব প্রকল্পের কাজই চলমান রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানদের তো আমরা সব বিল পরিশোধ করিনি। এজন্যই বলছি জুনে যখন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করবো তখন এডিপি বাস্তবায়ন হার অনেক বেড়ে যাবে।

এসআর/এনএফ