মহামারি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়ীরা এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে অথবা স্বল্প সুদে জামানতবিহীন দীর্ঘ-মেয়াদী ঋণ চান। পাশাপাশি চলমান বিধিনিষেধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়মে রেস্তোরাঁ খোলা রাখতে চান তারা।

শনিবার (২২ মে) সকাল ১১টায় হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষে বেশ কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে চলমান বিধিনিষেধে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা সীমিত আকারে চলছে। কিন্তু এর মাধ্যমে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ খাবার বিক্রি হয়, যা দিয়ে হোটেল ভাড়া, কর্মীদের বেতন ও পরিচালন ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়মে বা ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখতে চান তারা।

দেশের সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার, শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মোট নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি। এ পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে।

দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখা, হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা দেওয়া, করোনার সময়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল সারচার্জ ছাড়া দিতে পারা, মালিক ও শ্রমিকদের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে ঘোষণা ইত্যাদি।

এসআই/আরএইচ