জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভবন: সংগৃহীত ছবি

২০২০-২১ করবর্ষে ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩৫৭ জন করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। যা গত অর্থবছর একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর আদায় হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৫৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বেশি। 

সোমবার (৪ জানুয়ারি) করদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর দেওয়ায় দেশপ্রেমিক, সচেতন নাগরিক ও সম্মানিত করদাতাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এছাড়া মহামারির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করায় কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাই।

বর্তমানে দেশে ই-টিআইএনধারীর সংখ্যা ৫০ লাখ ৭২ হাজার। আর গত অর্থবছরে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল প্রায় ২২ লাখ।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৩০ নভেম্বর এনবিআর তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাস সময় বাড়ায়।

২০২০-২১ করবর্ষের জন্য ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর। ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে হওয়ায় সেদিন সব ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময় শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর। যদিও পরে বিশেষ বিবেচনায় ৩১ ডিসেম্বর আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করে কর অফিস।

নির্ধারিত সময়ে কোনো টিআইএনধারী যদি রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তাহলে সময় বাড়াতে পারবেন। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে দুই থেকে চার মাস সময় বাড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ সুদ গুনতে হয়।

আরএম/জেডএস