আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে আশা করছে সরকার। করোনা পরবর্তী উত্তরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

একইসঙ্গে নতুন অর্থবছরের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭১ লাখ ৮০০ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রস্তাব করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এ প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এই বিশেষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছি। এবারের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবারে বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশের প্রত্যাশার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।

মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।

এসআর/এসকেডি