করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার এ পর্যন্ত ২৩টি প্যাকেজ চালু করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে গত বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহ হতে মে মাস পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ছুটির কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৫ এপ্রিল ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। 

মন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে আমরা ধীরে ধীরে এ প্যাকেজের আওতা বর্ধিত করেছি এবং নতুন নতুন সেক্টর ও নতুন নতুন ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য প্যাকেজের আওতা সম্প্রসারণ করেছি। এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি প্যাকেজ চালু করেছি যার মোট আর্থিক মূল্য ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। এর পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ।  কিন্তু এর আগেই ভাইরাসটি চীন, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ঐ বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই আমাদের আমদানি-রফতানিসহ অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টরে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে আমরা এ সংকট মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ নেই। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে প্রথম আঘাতটি আসে ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের রফতানি আদেশ বাতিলের মাধ্যমে। যার ফলে এ খাতের প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হুমকির মধ্যে পড়ে। আমরা কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে মার্চের গত বছরের ৩১ মার্চ রফতানি খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখতে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি জরুরি তহবিল চালু করি।

বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন  অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌ 

এমএসি/আরএইচ