২০২১-২২ অর্থবছরে আরও এক হাজার ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে এ তথ্য জানান তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ প্রদানের নীতিমালা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় মুজিববর্ষে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রতিটি পরিবারকে একটি করে সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ৩৯৪ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি গৃহে একটি করে টয়লেট, রান্নাঘর ও বারান্দা থাকবে। আশ্রয়ণ প্রকল্প, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সারাদেশে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৩টি গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গত ২৩ জানুয়ারি ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক পরিবারকে ভূমি ও গৃহের মালিকানা প্রদান বিশ্বে এটাই প্রথম। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে এবং দারিদ্র্যের হার কমছে। জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম-২য় প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ২৫৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও ১ হাজার ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার এটি তৃতীয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌ 

এমএসি/আরএইচ