বিদেশ থেকে সব ধরনের অন্তর্বাস আমদানিতে খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। মেয়েদের ব্লাউজ, শার্ট, ব্রেসিয়ার, ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, ব্রিফ, নাইটশার্টসহ অন্যান্য পোশাকে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট অধিবেশনে এ প্রস্তাবনা রাখেন মন্ত্রী।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ওভারকোট, কার-কোট, ক্যাপ, ক্লোক, উইন্ডচিটার, উইন্ড-জ্যাকেট এবং সমজাতীয় পণ্য, নিটেড বা ক্ৰশেটেড, ছেলেদের স্যুট, ইনসিম্বল, জ্যাকেট, ব্লেজার, ট্রাউজার, বিব ও ব্রেস ওভারঅল, ব্রিচ ও শর্টস (সাঁতারের পোশাক ছাড়া), মেয়েদের স্যুট, ইনসিম্বল, জ্যাকেট, ব্লেজার, ড্রেস, স্কার্ট, ডিভাইডেড স্কার্ট, ট্রাউজার, বিব ও ব্রেস ওভারঅল, ব্রিচ ও শর্টস (সাঁতারের পোশাক ছাড়া), নিটেড বা ক্রশেটেড, ছেলেদের শার্ট, মেয়েদের ব্লাউজ, শার্ট এবং শার্ট-ব্লাউজ, ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, ব্রিফ, নাইটশার্ট, পায়জামা, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন এবং সমজাতীয় পণ্য, নিটেড বা ক্ৰশেটেড, মেয়েদের স্লিপ, পেটিকোট, ব্রিফ, প্যান্টি, নাইটড্রেস, পায়জামা, নেগলেজি, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন এবং সমজাতীয় পণ্য, নিটেড বা ক্ৰশেটেড, টি-শার্ট, সিংলেট এবং অন্যান্য ভেস্ট, জার্সি, পুলওভার, কার্ডিগান, ওয়েস্টকোট এবং সমজাতীয় পণ্য, নিটেড বা ক্রশেটেড, কাশ্মীরী ছাগল বা অন্য প্রাণীর সরু লোম দ্বারা তৈরি সামগ্রী, শিশুদের গার্মেন্টস ও ক্লোদিং এক্সেসরিজ, ফেব্রিক্সের তৈরি গার্মেন্টস, অন্যান্য গার্মেন্টস, প্যান্টি হোস, টাইটস, স্টকিংস, সকস এবং অন্যান্য হোসিয়ারি (ভেরিকোজ শিরার জন্য স্টকিংস এবং সোলবিহীন জুতাসহ), গ্লাভস, মিটেনস এবং মিটস, নিটেড বা ক্রশেটেড ক্লোদিং এক্সেসরিজ; গার্মেন্টস বা ক্লোদিং এক্সেসরিজের অংশ (স্পোর্টস আউটফিট হিসেবে ব্যবহৃত নি-ক্যাপ, অ্যাঙ্কলেট ইত্যাদি ব্যতীত), পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সকল ধরনের তৈরি পোশাক, অন্তর্বাস ও সমজাতীয় পণ্য (সাঁতারের পোশাক ছাড়া) এবং ব্রেসিয়ার, গার্ডল, করসেট, ব্রেস, সাসপেন্ডার, গার্টার, রুমাল, শাল, স্কার্ফ, মাফলার, ম্যান্টিলা, ভেইল, টাই, বো-টাই, ক্র্যাভেট, গ্লাভস, মিটেন্স, মিটস এবং সমজাতীয় ক্লোদিং এক্সেসরিজের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এছাড়া ট্র্যাক স্যুট ও অন্যান্য গার্মেন্টস (সাঁতারের পোশাক ও স্কি-স্যুট ব্যতীত), সকল প্রকার পশমী কম্বল, বেড লিনেন, টেবিল লিনেন, টয়লেট লিনেন, কিচেন লিনেন, পর্দা (ড্রেপসহ) এবং ইন্টেরিয়র ব্লাইন্ড; পর্দা বা বেড, ভ্যালান্স, অন্যান্য আসবাবপত্র (৯৪.০৪ হেডিং এর পণ্য ব্যতীত) আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০ শতাংশ।

বাজেট অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।‌

এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার ওই বিশেষ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।

‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেট হতে যাচ্ছে ৫০তম এ বাজেট। আলোচিত এই বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

জেইউ/এইচকে