চালের ফাইল ছবি

ফের চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। এবারও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। মজুত কমে যাওয়ায় ও কল মালিকদের অসহযোগিতার কারণেই মূলত চাল আমদানির পথে হাঁটছে সরকার। 

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৫তম বৈঠকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে আরেক দফায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করে সরকার।

সম্প্রতি তৃতীয় দফায় চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে খাদ্য অধিদফতর। এ উপলক্ষে বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (সংগ্রহ বিভাগ) মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে’।

তিনি আরও জানান, মূলত মজুত কমে যাওয়ার পাশাপাশি চাল কলের মালিকরা চাল দিতে অসহযোগিতা করার কারণে আমদানির এ প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকবে।

তবে খাদ্যশস্যের বর্তমান মজুতের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারিভাবে খাদ্যশস্যের মোট মজুত রয়েছে ০৭ দশমিক ৮৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল ০৫ দশমিক ৫৬ লাখ এবং গম ২ দশমিক ৩২ লাখ মেট্রিক টন রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৫তম বৈঠকে দ্বিতীয় দফায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ভারতের মুম্বাইয়ের এমএস রিকা গ্লোবাল ইমপেক্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়। নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল কেজি প্রতি ৩৪ দশমিক ২৮ টাকা ও প্রতি টন ৪০৪ দশমিক ৩৫ ডলার দরে কেনা হবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এমএস পিকে অ্যাগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে সরকার কেজি প্রতি ৩৭ টাকা দরে চাল কেনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া এ দামে চাল কল মালিকরা চাল দিতে চাচ্ছেন না।

একে/এফআর