সুলভ মূল্য নয়, ন্যায্য দামে টেকসই শিল্প চায় বিজিএমইএ
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হলে শুধু সস্তা উৎপাদন নয়, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করাটাও অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বায়ার্স ফোরামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এবং ৪০টিরও বেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, উৎপাদন খরচ ও শ্রমিকদের কল্যাণ বজায় রেখে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণই পোশাক শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি। তারা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে শিল্পের উন্নয়ন ও টেকসই পরিবেশ গড়ার জন্য সহযোগিতা এবং ন্যায্য দাম দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
আলোচনায় পোশাক শিল্পের জন্য একটি একীভূত আচরণবিধি, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জ এবং জিএসপি প্লাস প্রাপ্তির প্রস্তুতি বিষয়ে মতবিনিময় হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই অগ্রগতি শুধু আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য নয়, বরং একটি নিরাপদ, শ্রমিকবান্ধব ও দীর্ঘমেয়াদে টেকসই শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের পোশাক শিল্প ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে রয়েছে। এই রূপান্তর যাত্রায় আমরা আপনাদের (বায়ার্স ফোরাম) অংশীদারিত্ব কামনা করি।
বায়ার্স ফোরামের প্রতিনিধিরা বলেন, দেশের পোশাক শিল্প আরও এগিয়ে নিতে ডিজাইন সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। তারা বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি) একটি ডিজাইন ও ইনোভেশনভিত্তিক বিভাগ চালুর প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি, কারখানাগুলোতে তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনার নিয়োগের পরামর্শ দেন।
এসআই/বিআরইউ