কিছুতেই ক্রেতা সাধারণের হাতের নাগালে আসছে না মাছ ও সবজির দাম। বাজারে আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও সব ধরনের শাক-সবজি। নিত্যপণ্যের চড়া দামের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না বিক্রেতারা।

বুধবার (১৬ জুন) রাজধানীর কাঁঠালবাগান, শুক্রাবাদ ও কলাবাগান এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

কাঁঠালবাগান বাজারের সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়- গোলআলু, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক-সবজির বাজার আগের মতোই চড়া।

বাজারে প্রতিকেজি কালো গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়, পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকায়, রসুন ১৩০ টাকায়, গোল আলু ২০-২৫ টাকায়, করলা ৬৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকায়, কাঁচা পেঁপে ৪৫ টাকায়, ঢেঁড়শ ৫৫ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।

সবজির মতো শাকের বাজারও চড়া। প্রতি আঁটি পালং শাক কিনতে হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, পুঁই শাক ১০-১৫ টাকা, লাল শাক, পাট শাক, কলমি শাক ও কচু শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

কলাবাগান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও গরুর মাংস ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ থাকার পরও কেন বেশি দাম, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি সবজির খুচরা বিক্রেতারা। কাঁঠালবাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাইকারি দোকান থেকেই চড়া দামে সবজি কিনে আনছি। যার কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে কী কারণে দাম কমছে না তা বলতে পারি না।

শাকসবজির মতো মাছের বাজারও চড়া। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০-৩২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৫০-১৭০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আকার ও ওজনভেদে ইলিশ মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৩৫০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, চালের দাম আগের মতোই আছে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, নাজিরশাইল ৫৮-৬০ টাকায়, কাটারিভোগ ৬০-৬৫ টাকায় এবং বিআর-২৮ ৫০-৫২ টাকায়।

আরএইচটি/জেডএস