কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড : অন্যান্য বন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গতকাল সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। একই সঙ্গে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে অগ্নি-নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
তাসকীন আহমেদ বলেন, যাত্রী সেবার পাশাপাশি পণ্য আমদানি-রপ্তানির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনিরাপত্তা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে, যা দেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উদ্যোক্তাদের আস্থা ও ব্যবসা পরিচালনা কার্যক্রমকে সঙ্কটে ফেলবে।
বিজ্ঞাপন
ডিসিসিআই জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্রবার ও শনিবার বিমানবন্দরের কার্গো খালাস কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে আমদানি-রপ্তানির জন্য অপেক্ষারত পণ্যগুলো অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ধারণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে ছুটির দিনেও বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্য খালাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মনে করে ডিসিসিআই।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ডিসিসিআই সভাপতি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে শনিবার দুপুর সোয়া ২টায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা। সন্ধ্যা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। যেখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়, সেখানকার প্রায় সব মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা যায়।
আরএম/এআইএস