তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কি-না তা নিবিড়ভাবে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। 

তাতে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার (২২জুন) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সরকার আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। তবে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পোশাক কারখানাকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইএলও ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শের আলোকে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রটোকল প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের কারখানাগুলোর এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।

তারপরও কারখানাগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে চলছে কি-না তা দেখার জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের চন্দ্রায় বিশ্বমানের ল্যাব স্থাপন করেছে। চট্টগ্রামেও আরেকটি ল্যাব করা হয়েছে। এর ফলে শ্রমিকদের করোনার হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

তারপরও করোনার বর্তমান অবস্থার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে কারখানাগুলোতে আরও কঠোর মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি আরও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গাইড লাইন দেয়, তাহলে সেটা মেনেই আমরা কারখানা চালু রাখব।

এমআই/ওএফ