আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবে ৩৬৬ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেন এবং প্রায় ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

প্রথম মামলায় বলা হয়েছে, চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এক কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। তার নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২৫৫ কোটি ২৫ লাখ ১১ হাজার ৭৩১ টাকা জমা এবং ২৫৫ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ২০৪ টাকা উত্তোলনের তথ্য মিলেছে। এসব লেনদেনে ঘুষ ও দুর্নীতির অর্থ রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ হয়েছে বলে দুদক মনে করে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় মায়ার স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৮ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৬৯ টাকার স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নামে ৩৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১১১ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৪১১ টাকা জমা এবং ১১১ কোটি ৪৬ লাখ ৩৪ হাজার ৭১২ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে। যা মানিলন্ডারিংয়ের সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক। এ মামলায় স্বামী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকেও আসামি করা হয়েছে। 

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪: ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭: ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২: ৪(২) ও ৪(৩) আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

আরএম/এমজে