চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সামগ্রিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে এবং বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

পোশাক রপ্তানির পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই–নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে পোশাক রপ্তানি দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৩ কোটি মার্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল এক হাজার ৬১১ কোটি মার্কিন ডলার। বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৮৩ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৭৯১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

অন্যদিকে আলোচিত সময়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করেছে ১৮৪ কোটি ডলারের। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি ছিল ১৭৯ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

এদিকে অপ্রচলিত বা নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। এই মার্কেটের আওতায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চিলি, চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, সৌদি আরব, সাউথ কোরিয়া, তুর্কিসহ ইউনাইটেড আরব আমিরাতের অন্যান্য দেশ।

নতুন বাজারে চলতি জুলাই-নভেম্বর সময়ে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২৬৭ কোটি মার্কিন ডলারের। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ২৭৫ কোটি ডলার। প্রথম পাঁচ মাসে অপ্রচলিত পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পাঁচ মাসে চলতি অর্থবছরের সার্বিকভাবে দুই হাজার ৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। গত বছর প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি হয়েছিল এক হাজার ৯৯১ কোটি ডলার।

এসআই/এমজে