বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনাকারী সংস্থা সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন লিমিটেড ১৪টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনাকারী সংস্থাটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেলে বেজা সদর দফতরের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। একই দিনে জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (জেডিআই) সঙ্গে সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন লিমিটেডের ‘ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান’ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

জমি বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে : এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ৫ একর জমি, কন্টিনেন্টাল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড ৮ একর, ডায়নামিক ড্রেজিং ২ একর, নিট এশিয়া লিমিটেড ৮ একর, এমকে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৪ একর, রাতুল ফেব্রিক্স লিমিটেড ৫ একর, অ্যাক্টিভ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড ২ একর, রাইজিং হোল্ডিংস লিমিটেড ১০ একর, রাইজিং স্পিনিং মিলস লিমিটেড ৫ একর, যশোর ফিড লিমিটেড ১৬ একর, ম্যারিনা প্রোপার্টি (বিডি) লিমিটেড ২১ একর, টেক্সট টাউন লিমিটেড ৫ একর, এস্কোয়ার এক্সেসোরিজ লিমিটেড ১২ একর ও এস্কোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড পেয়েছে ৭ একর জমি। অন্যদিকে, জেডিআই সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রকৌশলগত সহায়তা দেবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য বেজা কাজ করছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বেজা বদ্ধপরিকর। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতে ব্যাপক শিল্পায়নের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বেজা সর্বাত্মক সহায়তা করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন করবে। এই পরিবর্তনের ছোঁয়া সমগ্র উত্তরাঞ্চলেও লাগবে এবং ওই এলাকাকে দেশের মূল ধারার অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সমর্থ হবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোন লিমিটেডকে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর চূড়ান্ত লাইসেন্স দেয় বেজা। ৯টি প্রতিষ্ঠান ও ২ জন ব্যক্তি উদ্যোক্তা যৌথভাবে এই প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছেন। জেলা সদরের সায়দাবাদ উপজেলা এবং বেলকুচি উপজেলার এক হাজার ৩৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল। 

এসআর/এসকেডি