দাম কমলেও মুরগির বাজারে ক্রেতা নেই
কঠোর লকডাউনের প্রভাব পড়েছে মুরগির বাজারে। দাম না বাড়লেও লকডাউনের প্রথম দিন ক্রেতা না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, প্রথম দিনে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে দু'একদিন পরে এর প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে, তখন আমাদের কী অবস্থা হবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে মুরগি ও মাছের বাজার ঘুরে ক্রেতাশূন্য চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সামাদ নামের এক মুরগি ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে জানান, লকডাউনের প্রভাবে মুরগির দাম বাড়েনি। বরং গত কয়েকদিনের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। আমরা সোনালী মুরগি আজ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দু’তিনদিন আগেও এই মুরগিই ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের লকডাউনে ব্যবসায়ীদের বিপদে পড়তে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে মুরগি আনতে এরইমধ্যে ভাড়া বেড়ে গেছে। আজ সকাল থেকে মাত্র একজন ক্রেতার কাছে ৫৫০ টাকার মুরগি বিক্রি করেছি। অন্যান্য দিন এই সময়ের মধ্যেই ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি হয়ে যায়।
পাশেই আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মুরগির দাম না বাড়লেও কবুতরের বাচ্চার দাম বেড়েছে। আগে কবুতরের বাচ্চা প্রতি পিস ১২০ টাকায় বিক্রি করতাম। আজ থেকে ১৫০ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকটে পড়তে হবে আমাদের।
এদিকে রুই, ইলিশের দাম কিছুটা কমলেও কিছুকিছু ছোট মাছের দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও।
সুনীল নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রুই মাছের দাম কমেছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী আজ মাছ আসেনি। আমাদের মাছ বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মাছ আসতে হবে তো। আজ দেখেন মাত্র কয়েকটা মাছ পেয়েছি। আজ কেজি প্রতি রুই মাছ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দিন এই মাছ ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করি।
ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, ইলিশের দাম কমে গেছে। আমার কাছের এই ইলিশ অন্যান্য দিন এক হাজার থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি করতাম। আজ ৯০০ টাকায় বিক্রি করছি। তাও সকাল থেকে ক্রেতা নেই।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুমুখী ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা লতিফ ইসলাম বলেন, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া (জালি) প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসআর/জেডএস