আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি

মূলধনে ভারতে নজির স্থাপন করেছে আদানি গ্রুপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম সপ্তাহেই গ্রুপটির মূলধন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার (১২ জুলাই) আদানি গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এমনটি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

গত মাসে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড তিনটি ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায়। ফলে আদানি গ্রুপের ২ লাখ কোটি টাকার মূলধন কমে যায়। যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ ধরনের খবর ভুল ও বিভ্রান্তিকর।

এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, নিয়ন্ত্রকদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তার ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর কমে যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু ছোটমাপের বিনিয়োগকারী এ ধরনের খবর দেখে প্রভাবিত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এ ধরনের খবরে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা এমন কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি, যা অনেকে ভাবতেই পারবে না। আমাদের দিকে যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়, তখনই আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি।

আদানি গ্রুপের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোনের ব্যবসা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। কন্টেনার সেগমেন্ট মার্কেট শেয়ার ৪১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বের একমাত্র সংস্থা হিসেবে আদানি গ্রুপেরই বন্দর সংক্রান্ত ব্যবসা এত সাফল্য পেয়েছে।

গৌতম আদানি জানান, আদানি গ্রিন এনার্জি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ সংস্থা। ভারতে প্রতি চার জন যাত্রীর একজন এখন আদানি গ্রুপের বিমানে চড়েন। কোনো বড় দেশে অন্য কোনো সংস্থা ২৫ শতাংশ বাজার ধরতে পারেনি। আদানি গ্রুপ আমদাবাদ, লখনউ ও ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া গুয়াহাটি, জয়পুর ও তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের বিষয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মুম্বাই ও নভি মুম্বাই বিমানবন্দর অধিগ্রহণের বিষয়েও কথা চলছে।

সূত্র: এবিপি আনন্দ

এসএসএইচ