প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নগদ সহায়তা প্রদানে অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকারের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের (এপিআই) সঙ্গে যুক্ত হবে দেশের চারটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)। যার মাধ্যমে সরাসরি নগদ সহায়তা দুঃস্থ ও দরিদ্র তালিকাভুক্ত পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।

চার মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পরিসেবা নগদ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেট এবং রূপালী ব্যাংকের শিওরক্যাশ। অর্থমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৩ জুলাই করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার ৫টি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মধ্যে দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা রয়েছে। সারাদেশে ৩০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে কোরবানি ঈদের উপহার হিসেবে এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে আরো রয়েছে- শহর এলাকার নিম্ন আয়ের জনসাধারণকে সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ১৫০ কোটি টাকা।

৩৩৩-নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা। গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে (৪ শতাংশ সুদে) বরাদ্দ ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

পর্যটন খাতের হোটেল-মোটেল, থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দিতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।

এর আগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ লাখ দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার। মোবাইল আর্থিক সার্ভিসের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের আগে প্রতিটি পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ২০২০ সালেও প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবার এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেন।

আরএম/এমএইচএস