ঈদের ছুটিতে সবকিছু বন্ধ থাকার পাশাপাশি শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচা বাজারে। দুই দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১০০ টাকায়। একসঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও।

সকালে বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েক দিনের তুলনায় কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটি আর কঠোর বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েছে বাজারে। যে কারণে সবকিছুর দামই বাড়তি।

বাজার ঘুরে কাঁচা সবজির দরদাম নিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের দামই বেশি বেড়েছে। ঈদের আগের দিন (মঙ্গলবার) যেই কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সেই মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। রাজধানীর এলাকাভিত্তিক কাঁচা বাজারগুলোতে দেখা গেছে বেগুন প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, শশা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায়।

এছাড়া ঈদের আগে লালশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ ২০ করে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারে সবজির দাম গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে।

কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ এত বেশি বাড়ার বিষয়ে উত্তর বাড্ডা কাঁচা বাজারের দোকানদার হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের আগের দিন এই কাঁচা মরিচ আমি ৪০/৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। যে কারণে আমাদের ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। আসলে ৩ দিন ঈদের ছুটি ছিল, সেই সঙ্গে আজ থেকে আবার বিধিনিষেধের কারণে সবজির গাড়ি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেনি। তাই দাম বেড়েছে। হয়ত দু'একদিনের মধ্যেই দাম আবার ঠিক হয়ে যাবে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশান সংলগ্ন গুদারাঘাট এলাকার বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীরী নূরুন নাহীদ। তিনি বলেন, ঈদের পরে কাঁচা বাজারে এসে আজ দেখলাম সব কিছুর দাম অনেক বেশি। কাঁচা মরিচ কিনতে হলো ১০০ টাকা কেজি, যা দুই দিন আগেই ৪০ টাকা কেজিতে কিনেছি। বাজারে সবজিরও বেশি আমদানি নেই। সবাই বলছে ঈদের ছুটিতে বেশি মাল আসেনি তাই দাম বেশি।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। বিধিনিষেধের প্রথম দিনে রাজধানীর রাজপথ ফাঁকা দেখা গেছে।

এএসএস/জেডএস