আবারও চালের দাম ঊর্ধমুখী। গত কয়েকদিন খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে চালের। এই যখন অবস্থা তখন ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’ হয়ে বাজার গরম করল মরিচ। আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা।  

এদিকে, গাজরের কেজি শত টাকা। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মোটামুটি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

আজ রাজধানীর উত্তরা এলাকা বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানালেন, চালের দাম বৃদ্ধির কথা। কাঁচা মরিচের ঝাঁজ চরমে পৌঁছালের দিনে স্বস্তি এই যে, অন্যান্য সবজি, মাছ, ডিম, মুরগির দাম কিছুটা সহনীয় রয়েছে। 

দাম বেড়েছে চালের

মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, মোটা ও স্বর্ণাসহ সব চালের দামই এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারেরা বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানোর ফলে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। তবে দু-একজন পাইকারের দাবি, সামনে চালের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা ও স্বর্ণা ধানের চাল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হতো। এছাড়া কেজিপ্রতি নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, বাংলামতি ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা, পাইজাম আতপ ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা, মিনিকেট চিকন ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, পোলার চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কাঁচাবাজার গরম করে রেখেছে কাঁচামরিচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রায় সব দোকানেই একই দাম- আড়াইশ গ্রাম ৫০ টাকা, কেজি ২০০ টাকা। হঠাৎ এমন দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতাদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। 

এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে। করলাসহ ‍দু-এক পদের সবজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকায়। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মাছের বাজারে মোটামুটি সহনীয় থাকলেও ইলিশের ধারেকাছে যাওয়াও কঠিন সাধারণ ক্রেতাদের। এককেজির ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, ইলিশের সরবরাহ না থাকায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত ইলিশের দাম বেড়েছে। 

ইলিশ সাধারণের নাগালের বাইরে

তবে, অন্যান্য মাছের বাজার অনেকটাই সহনীয় রয়েছে। আকারভেদে কেজিপ্রতি চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করাল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি ও ডিমের দাম আগের মতোই আছে। কেজিপ্রতি সোনালী মুরগি ২২০ থেকে ২২৫ টাকা, ব্রয়লার ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকায়। 

মুরগির ক্রেতা আব্দুল আওয়াল মনে করেন, বাজারে শুধু ডিম ও মুরগির দামেই কিছুটা স্বস্তি রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম প্রতিদিন কম বেশি বাড়ছে।

একে/এইচকে