তিন ধাপে দেনা-পাওনার হিসাব সরকারের কাছে জমা দিতে হবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে। প্রথমে দিতে হবে সম্পদের দায়ের হিসাব। এরপর গ্রাহক বা ভোক্তারা কত টাকা পান, সে হিসাব দিতে হবে। সবশেষে দিতে হবে মার্চেন্টরা পণ্য বাবদ কত টাকা পান, সে হিসাব।

বুধবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইভ্যালি নিয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

তিন সপ্তাহের সময় দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে অ্যাসেট লায়াবিলিটিসের জন্য সময় দেওয়া হতে পারে তিন থেকে পাঁচ দিন। কাস্টমারের তথ্য দেওয়ার জন্য সাত দিন এবং মার্চেন্টদের তথ্য দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। 

সম্পদ দায় তাৎক্ষণিক বা দ্রুত পাওয়া যেতে পারে উল্লেখ করে ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক বলেন, সেই তথ্য প্রাথমিকভাবে চাওয়া হবে। এভাবে বিভিন্ন ধাপে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিন সপ্তাহের মধ্যে ইভ্যালি যদি তথ্য-উপাত্ত দিতে না পারে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি। আবার যখন বসব, তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকার নির্ধারিত হিসাব দেওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যেও সাধারণ মানুষ ইভ্যালির সাথে যুক্ত হবেন- সেজন্য কী করা হবে- জানতে চাইলে মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সেজন্য পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করেছি। আশা করছি, এ নির্দেশিকার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কেউ ব্যবসা পরিচালনা করবে না। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে কিছু মামলার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, অধিদফতরে ছয় হাজার ৭৫৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ১৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে দুই হাজার ৬১২টি মামলা। যদি কোনো ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন বা প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করেন, তাহলে তার উচিত হবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মামলা করা। তাহলে আমরা সিগন্যাল পাব, কী পরিমাণ কাস্টমার প্রতারিত হচ্ছেন এবং কী ধরনের সমস্যা, কী ধরনের লায়াবিলিটিস তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, যে মার্চেন্টরা তাদেরকে পণ্য দিয়েছেন, তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও উচিত হবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। ভোক্তা এবং মার্চেন্টরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়টি দেখার জন্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ভোক্তাদের সতর্ক করার জন্য পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে জানিয়ে মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ভোক্তারা যেন সতর্ক হন এবং এ ধরনের কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন।  

এসএইচআর/আরএইচ