চলমান মহামারির মধ্যেও ব্যবসায়িক গতি ফিরে পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী (এনপিএটি) ২৮৫ কোটি টাকা এবং সমন্বিত ভিত্তিতে (সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ) কর-পরবর্তী মুনাফা ঘোষণা করেছে ২১৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জুনে কর-পরবর্তী মুনাফার চেয়ে ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় একক ভিত্তিতে বেড়েছে ৮৭ শতাংশ এবং সমন্বিত ভিত্তিতে ১২৭ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ১৬ আগস্ট ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডারসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিশ্লেষক এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকের খরচ-উপার্জনের অনুপাত (সিআইআর) উন্নীত হয়েছে ৫১ শতাংশে। ননপারফরম্যান্স লোন বা ঋণ খেলাপিসহ (এনপিএল) ক্রেডিট কাভারেজ দাঁড়িয়েছে ১৩৮ শতাংশে। রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) একক ভিত্তিতে ২.০৪ টাকা এবং সমন্বিত ভিত্তিতে ১.৮৫ টাকা। শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) একক ভিত্তিতে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৫৯ টাকা এবং সমন্বিত ভিত্তিতে ৩৪.৭৩ টাকা।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের প্রথমার্ধে সমন্বিত মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিআরএআর) দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশ, যা ব্যাংকিং খাতের সর্বোচ্চ স্তর-১ মূলধন অনুপাত। ব্যাংকের স্বতন্ত্র মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১৪.৯৪ শতাংশে, যা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ১২.৫ শতাংশের বেশি।

ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা মহামারি-পূর্ব ব্যবসার গতি পুনরুদ্ধার করেছি এবং বছরের বাকি সময়, এমনকি তারপরেও আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত। আমাদের সব কৌশলগত উদ্যোগ, সহকর্মী, ব্যবসা এবং প্রযুক্তি পূর্ণ উদ্যমে চলছে এবং আগামী দিনের সম্ভাবনা নিয়ে নিয়ে আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত।’

এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডিএমডি অ্যান্ড চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এম মাসুদ রানা, ডিএমডি অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান; ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন প্রমুখ।

এসআই/জেডএস