পপুলার গ্রুপের দুটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ফাঁকি দেওয়া প্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা আদায় করেছে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

বুধবার (১৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঢাকাপোস্টকে বলেন, ভ্যাট গোয়েন্দার দাবি মেনে নিয়ে পপুলার গ্রুপ ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ভ্যাট আজ (বুধবার) জমা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটো হলো- পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লিমিটেড।

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, সংস্থাটির উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সারের নেতৃত্বে একটি দল পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালের কার্যক্রম তদন্ত করে। তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎসে ভ্যাট ফাঁকিবাবদ ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৭০ পাওয়া যায়। এই অপরিশোধিত ভ্যাটের ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে ২ শতাংশ হারে ১ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৬ টাকা সুদ প্রযোজ্য। 

অপরদিকে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে অপর একটি দল পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল লিমিটেডে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালের কার্যক্রম তদন্ত করে। তদন্ত মেয়াদে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎসে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ৪৫৬ টাকা বের হয়। যেখানে ২ শতাংশ হারে ৯৬ লাখ ২৬ হাজার ৬০৩ টাকার সুদ প্রযোজ্য।

তদন্তকালে প্রতিষ্ঠানের সি.এ. ফার্ম কর্তৃক বার্ষিক প্রতিবেদন ও ভ্যাট বিষয়ক অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে এই ফাঁকি উদঘাটন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট এবং সুদ বাবদ উদঘাটিত রাজস্ব স্বপ্রণোদিত হয়ে ও স্বেচ্ছায় সরকারি কোষাগারে জমা দেয় বলে জানায় ভ্যাট গোয়েন্দা। 

আরএম/এসএম