শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনার ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টির পরিবর্তে ৩৬টি করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এই সুবিধা চেয়ে গত ২২ আগস্ট চিঠি দিয়েছেন। 

বিষয়টি বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে পোশাক খাত গভীর সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে।জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান।

এতে বলা হয়, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকার আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে সহজ শর্তে দেওয়া ঋণ পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ গত মার্চ থেকে আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন কমবে এবং তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে এ আশা সরকারসহ সব উদ্যোক্তাদের ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে বিদেশি ক্রেতারা ক্রয়াদেশ শিথিল করেছে। যেসব পণ্য ইতিমধ্যে রফতানি করা হয়েছে তার বিপরীতে অনেক ক্ষেত্রে রফতানি মূল্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

বলা হয়, পোশাক শিল্প খাতের মালিকরা শিল্পের ভবিষ্যৎ, বিনিয়োগের পরিস্থিতি ও শ্রমিকদের মজুরি দেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। এই সংকটকালীন সময়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের কিস্তি সংখ্যা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন।

বিদেশি ক্রেতা ও শ্রমিকদেরকে ধরে রাখার জন্য সংকটকালীন সময়ে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা লোকসান দিয়ে তৈরি পোশাক রফতানি করে যাচ্ছে। ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রফতানি আদেশ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সব রফতানি আদেশের বিপরীতে পেমেন্ট পেতে আরো কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হবে, যার কারণে উদ্যোক্তারা সামরিক তারল্য সংকটের মধ্যে থাকবে।

এমতাবস্থায় রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পকে এই সংকটময় সময়ে টিকে রাখার নিমিত্তে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের কিস্তির সংখ্যা ১৮টির পরিবর্তে ৩৬টি করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এমআই/জেডএস