বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা দরকার বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে ডিজিটাল কমার্স (ই-কমার্স) ব্যবসায় সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজের এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা রাসেল সম্পর্কে বলেছি, তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার, তারা একটা প্রোগ্রাম... তাদের আদৌ সম্পদ আছে কি-না, সেখানে কংক্রিট কিছু দিলে, কোনো বিজনেস প্ল্যান দিলে, আমরা সেটা দেখতে পারি, লজিক্যাল কিনা, আসলেই কিছু আছে কি-না।’

‘অহেতুক তার কিছুই নেই, আমরা জেল থেকে বের করে দিলে সে ঘুরে বেড়াবে, এটাতো আরও ইনকারেজ হবে।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘ধরা যাক তার ১০০ কোটি টাকা আছে, সে ১০০ কোটি টাকা কীভাবে প্ল্যান করতে চায়, কীভাবে পেমেন্ট ব্যাক করবে বা এসব দেখে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারি।’

তাহলে তাকে (ইভ্যালির এমডি রাসেল) বের করতে চান-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, বের করার আগে তাদের সঙ্গে মানে...’

কিন্তু সে যে হিসাব দিয়েছে, সেখানে তার কোনো সম্পদের কথা বলেনি -একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে টিপু মুনশি বলেন, ‘সেটাতো আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনার কত টাকা আছে? আপনি বললেন আমার কাছে ব্যাংকে আছে ১০ হাজার টাকা। এটা হলো ভিজিবল।’ 

‘আর আপনি এ টাকা দিয়ে ওই গুলশানের কোন কোনায় জমি কিনে রেখেছেন, সেটা যদি না বলেন, তাহলে কিন্তু আমরা কেউ জানতে পারবো না, আপনার ওখানে প্রোপার্টি আপনি এবং আপনার স্ত্রীর নামে এবং শালিকার নামে কিনে রেখে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ইভ্যালির সম্পদ কতটুকু আছে, সেটা শুনতে হবে, সেই আলোচনা করতে হবে। তাদের জেলে ভরে রাখলে তো কিছু পাবে না তারা। আবার কিছু না থাকলে বের করলেও লাভ হবে না।’

মন্ত্রী জানান, কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মালিক জেলে আছে। আরেও কিছু কোম্পানির কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। আমাদের কাছে রিপোর্ট আছে, অনেকে যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারী, তারা অনেকেই ই-কমার্সে যুক্ত হয়েছে। তাই ই-কমার্স বন্ধ করা যাবে না। যারা চিটিং করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটি একটি বিষয় এবং সামনে কীভাবে চলা যায় সেটি একটি বিষয়।

করোনাকালে গত ৪ জুনের আগে ৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, এখন বাকি চারমাসে ৬০০ কোটি টাকা ‘স্ক্রো ফান্ডে’ জমা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ধরনের বড় কোম্পানিকে এখন থেকে সতর্কীকরণ বার্তা দিতে হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যারা প্রতারণা করছে; তাদের বিচারের জন্য সিকিউরিটি ও মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট সংশোধন করা হবে। বৃহস্পতিবার কাজ শুরু হবে।

এসএইচআর/পিএসডি/এসএম