নানা অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন-উর-রশিদকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমডিকে বরখাস্ত করে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুমোদনের জন্য চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ। অনুমোদনের পরই এমডিকে অপসারণ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে কাজের পরিবেশ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মদ সামসুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। সামসুর রহমান অক্টোবর মাস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে সিআরও নিয়োগ দিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিএসই।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, এমডি বরখাস্ত হয়েছে, সিআরও পদত্যাগ করেছেন। এগুলো প্রক্রিয়াতে রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিকল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করা সিএসইর ব্রোকার সংখ্যা ১৪৮টি। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছরে এসেও বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সিএসই। প্রতিষ্ঠানটি ঊর্ধ্বমুখী বাজারেও মুনাফায় ফিরতে পারছে না।

কোম্পানির তথ্য মতে, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে চলতি মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর মামুন-উর-রশিদকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে তাকে এক্সচেঞ্জটির এমডি পদ থেকে সরিয়ে দিতে অনুমোদন নিতে বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সিএসইর পর্ষদ।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

এমডি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, সিআইবি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সমস্যা এবং সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তার আসামি হওয়ার মতো বিষয়গুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমডি পদের প্রভাব খাটিয়ে মামুন-উর-রশিদ এক্সচেঞ্জের তিনটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। এর মধ্যে তার ছেলে এক্সচেঞ্জের গাড়ি ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটিয়েছেন।

এমআই/এমএইচএস