২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি ক্যাটাগরি) থেকে উত্তরণের পর শুল্ক (বাণিজ্য) সুবিধা আরও ১২ বছর অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিজিএমইএর গুলশানের অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলের কাছে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এটি ছিল তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ফারুক হাসান নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারমূলক করণীয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের অনন্য অর্জনগুলোও তুলে ধরেন।

ফারুক হাসান ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রস্তাবিত জিএসপি রেগুলেশনে জিএসপি প্লাসের একটি অন্যতম শর্ত ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ন্যূনতম আমদানি সীমা (ইমপোর্টথ্রেশোল্ড) শর্তটি বাদ দেওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান। ইইউকে বলেন, পদক্ষেপটি বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করার পথ সুগম করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদান, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সহযোগিতা প্রদান আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন ও ব্যবসায় সক্ষমতা বিকাশে ইইউকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। বাংলাদেশকে মসৃণভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

এমআই/আরএইচ