চীন থেকে আমদানি করার পর ইউরিয়া সার পুনরায় নেপালে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগ। তবে সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজন করা হবে। এনবিআরের কাস্টমস উইং (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) গত সপ্তাহে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে।  

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউরিয়া সার বাংলাদেশ-নেপাল ট্রানজিট চুক্তি ও প্রটোকল অনুসারে পুনরায় রপ্তানি সম্পন্ন হবে। ট্রানজিট সুবিধার অধীনে নেপালে রপ্তানির জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে চীন থেকে এ পর্যায়ে প্রায় ২৯ হাজার ৫০০ টন সার উন্মুক্ত আকারে আমদানি করতে পারবে।

ইতোমধ্যে দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন এমভি অ্যাল্ডোরিস জাহাজের মাধ্যমে আমদানিকৃত ১২ হাজার ৩০০ টন সার গত ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এসেছে। এছাড়া মোংলা বন্দরে আসবে ১৭ হাজার ২০০ টন সার। এই সার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পিপি ব্যাগে প্যাকেটজাত করা হবে। যার প্রতিটি ব্যাগে ৫০ কেজি সার থাকবে। নওপাড়া ও খুলনায় প্যাকিং শেষে পুনরায় নেপালে রপ্তানি করা হবে।

এনবিআর বলেছে, চট্টগ্রাম ও মোংলা কাস্টম হাউসগুলো বিল অব এন্ট্রি, কাস্টম মূল্যায়ন ও প্রযোজ্য শুল্ক বা ব্যাংক গ্যারান্টিসহ পুরো আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

আমদানি করা মোটি ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নেপালে রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। গত ২৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সভা শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, নেপালে সার রপ্তানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে নেপালে ৫০ হাজার টন ইউরিয়া সার রপ্তানির লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। নেপালকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানির লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেডের (কেএসসিএল) মাঝে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এতে বিসিআইসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আমিন উল আহসান ও কেএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেত্রা বাহাদুর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আরএম/ওএফ