প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন সর্বোচ্চ রিটার্ন দিচ্ছে। এর মানে পুঁজিবাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। আমরা পুঁজিবাজারকে নিয়মিত উন্নত করছি। মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজার এখন একটি ইমেজিং মার্কেটে রূপান্তরিত হচ্ছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ডের পাশাপাশি এবার লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য রোড শো সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করা হয় লন্ডন থেকে, ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। এছাড়াও যুক্ত ছিলেন লন্ডনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম।

সালমান এফ রহমান বলেন, দুটি উদ্দেশ্যে আমরা ইনভেস্টর সামিট করতে যাচ্ছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, বাংলাদেশ গত ১০ বছরে কী অর্জন করেছে, তা জানাতে। আরেকটা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশকে জানানো এবং ব্র্যান্ডিং করতে। 

তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে আমরা গত ১০ বছরে অনেক অর্জন করেছি। এখন আমাদের পরবর্তী ধাপে (উন্নত দেশ) যেতে হবে। এ কারণে আমাদের দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ দরকার। এক্ষেত্রে আমরা ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) ও ক্যাপিটাল মার্কেটে ফোকাস করব।

সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ ফেরত নেওয়ার পলিসি সম্পর্কে জানতে চায়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ। আমরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে বর্ধিত করতে চাই। এছাড়া ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে ইমার্জিং মার্কেটে নিয়ে যেতে চাই।

অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসছে। অবকাঠামো উন্নয়নেও এখন বন্ড ছাড়া হচ্ছে। মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে ব্যক্তি শ্রেণিসহ সরকারও ভালো রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রবাসীসহ বিদেশিরা এসব বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ডেরও বিনিয়োগের বড় জায়গা আছে। আমাদের এমন আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্টনারশিপ-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এর অর্থ যারা এখানে বিনিয়োগ করতে আসবেন তারাও যেন লাভবান হন, বাংলাদেশও যেন লাভবান হয়।

এমআই/এসকেডি