সাড়ে তিন কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বেসরকারি কন্টেনার ডিপো ইনকনট্রেড লিমিটেড।

ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তদন্তে এমন ফাঁকির তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর বন্দর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনকনট্রেড লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। মামলা হয়েছে। মামলাটি আইনগত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, ইনকনট্রেড লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর্তন খাতে কোনো ভ্যাট পরিশোধ করেনি। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাই করে বকেয়া ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৬ টাকা। এর আগে কোনো ভ্যাট পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে অপরিশোধিত ওই ভ্যাট আদায়যোগ্য। আর জরিমানা হিসাবে মাসে ২ শতাংশ সুদে ২১ লাখ ৮০ হাজার ৩২৮ টাকা আদায়যোগ্য।

এছাড়া ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক অডিট রিপোর্ট (সি.এ.) অনুযায়ী প্রদর্শিত বিক্রয়মূল্যের তুলনায় দাখিলপত্রে বিক্রয়মূল্য কম প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠান। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ১৪ হাজার ৬১৩ টাকা। সেখানেও জরিমানা সুদ হিসাবে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১০ টাকা আদায়যোগ্য।

সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৭ টাকা। ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তটি পরিচালনা করে।

ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে আরো দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধিত। তাই মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এবং একই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালার বিধি অনুযায়ী মূসক সংক্রান্ত বিভিন্ন চালানপত্রসহ দলিল সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ইনকনট্রেড লিমিটেড তা সংরক্ষণ করেনি।

আরএম/জেডএস