বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফার পরিমাণ প্রকাশ করেছে টেলিকম প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। তৃতীয় প্রান্তিকে ৮৬ দশমিক ৫ কোটি টাকা কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) করেছে রবি। ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর না থাকলে পরিমাণ হতো ১২৮ দশমিক ২ কোটি টাকা।

রোববার (৩১ অক্টোবর) এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় প্রান্তিকের এ ফলাফল তুলে ধরে অপারেটরটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির পিএটি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১২২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৯ মাসে রবির পিএটি বেড়েছে ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

স্থিতিশীল ঊর্ধ্বগামী রাজস্ব এবং দক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বছরের প্রথম ৯ মাসে অপারেটরটির পিএটি পৌঁছেছে ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা তৃতীয় প্রান্তিকে বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ৫১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। মোট ৫ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে। এছাড়া অপারেটরটির ৭৪ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যা এ খাতে সর্বোচ্চ।

২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র মোট গ্রাহক দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র রাজস্ব আয় ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) রবি’র রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৭ কোটি টাকায়।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৬৫০ দশমিক ৭ কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) রবি’র মোট মূলধন বিনিয়োগ ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা, যা এ প্রান্তিকের মোট রাজস্বের ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, যা এ সময়ে কোম্পানির মোট রাজস্বের ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবি’র ১৪ হাজার ৪৬৬টি সাইট ছিল।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র অ্যাক্টিং সিইও অ্যান্ড সিএফও এম রিয়াজ রশীদ বলেন, এ বছরের প্রতি প্রান্তিকেই আমাদের মুনাফা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। তবে এটা খুবই হতাশাজনক যে প্রথম ৯ মাসে আমাদের কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা হতে পারত। যদি ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর আমাদের ওপর আরোপ করা না হতো। যার ফলে আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

একে/এসএসএইচ